সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক সংগঠন সিইএইচআরডিএফ’র উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সিইএইচআরডিএফ উন্মুক্ত ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফোরামে সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ, মানবাধিকার সুরক্ষা, আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ইস্যু, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার ও মর্যাদাপূর্ণ সমাজব্যবস্থা, সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অধিকার, ঔপনিবেশিক মানসিকতা দূরীকরণ, অন্তর্ভুক্তি ও বৈচিত্র্য এবং সিইএইচআরডিএফ এর রাজনৈতিক আবেদন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

উন্মুক্ত ফোরামে সভাপতির বক্তব্যে সিইএইচআরডিএফ প্রধান নির্বাহী মোঃ ইলিয়াছ মিয়া বলেন বিশ্বব্যাপী চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই সময়ে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত হৃদয়ে আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উদযাপন করছি। সমগ্র পৃথিবী উন্নত রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বহু দেশকে নানাভাবে অপতৎপরতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আজ গোরস্থানে পরিণত করেছে। তার বাস্তব উদাহরণ ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া, জর্ডান, আরাকান, চেসনিয়া বসনিয়া ও কাশ্মীর। একিই সাথে আন্তঃদেশীয় ও জাতীয় সরকারের অনৈতিক রাষ্ট্রীয় আচরণের কারণেও চরমভাবে মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। ফলে সরকারের ফ্যাসিজমের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে শোষিত মানুষদের প্রতিনিয়ত বিপ্লব করতে হয় আর সেই বিপ্লবে সরকার হাতে হাজার হাজার মানুষকে আত্মাহুতি দিতে হয়। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল মনসুর বলেন সারা পৃথিবীতে মানবাধিকার চরমভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে।
সরকার ত্রিশ কিলোমিটার বর্ডার পাহারা দিতে ব্যর্থ হয়। আর রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে বিচার বহির্ভূত হত্যা করে। এটি চরম মানবতা বিরোধী কর্ম। এই দায় সম্পূর্ণ রাষ্ট্রকে নিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কলিমুল্লাহ বলেন সরকার এই অঞ্চলে নানারকম পরিবেশ বিরোধী কর্মযজ্ঞ চালিয়ে হাজারো মানুষকে উদ্বাস্তু করেছেন। প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে মানুষের জীবনমানে অস্থিরতা তৈরি করেছেন এটিও মানবাধিকার লঙ্ঘন।

বিশেষ অতিথি কামাল উদ্দিন বলেন তরুণরা মানবাধিকার সুরক্ষা নিরলস ভাবে যে কাজ করে চললেন তার ফলে একদিন বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষিত হবে বলে বিশ্বাস করি।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-প্রধান লিডার(এলডিএস) ও উন্মুক্ত ফোরাম বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আব্দুল মান্নান রানা। এতে সঞ্চালনায় ছিলেন উপ-প্রধান সমন্বয়ক(এসওএস) ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব রুহুল আমিন।

এতে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী কলেজের প্রভাষক ওমর ফারুক দিনার, সিইএইচআরডিএফ সহকারী প্রধান(ওডিএস)রেজাউল করিম, সহকারী ব্যবস্থাপক(এসওএস)
সাঈদ মোঃ শুভ, এক্টিং কো-অর্ডিনেটর
(নিয়ন্ত্রণ)রেজাউল হায়াত রেজা, ফোকাল অর্গানাইজার(সংগঠন)শাহ আবু বক্কর, কক্সবাজার মেট্রোপলিটন কাউন্সিল এর এসিসস্টেন্ট সেক্রেটারি এইচ এম মারুফ, রামু এরিয়া কাউন্সিল এসিসস্টেন্ট সেক্রেটারি গোলাম আযম, ঈদগাঁও সেগমেন্ট এসিসস্টেন্ট সেক্রেটারি মোবারক হোছাইন, মেট্রোপলিটন ইয়ুথ কাউন্সিলের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন বাবু, সদর সার্কেল এসিসস্টেন্ট সেক্রেটারি আব্দুল মালেক, ক্লাস্টার সেক্রেটারি সবুজ দে, কক্সবাজার সদর সিনিয়র ভয়েজ সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম, টেকনাফ রাইট গার্লস শাখার সমন্বয় হুমায়রা আকতার, কক্সবাজার মেট্রোপলিটন রাইট গার্লস শাখার ব্যবস্থাপক রেহেনা আকতার, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক তানিয়া, কক্সবাজার ইস্ট সিটি রাইট গার্লস শাখার সমন্বয়ক শারাবান তাহুরা, ব্যবস্থাপক মর্জিয়া হাসান রুহি, ও প্রমূখ।